শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সোতার খালটি সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা সদরে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সোতার খালপাড়ে বসবাসরত এলাকাবাসী’র উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আকাশ বন্যার কারণে এ অঞ্চলের মানুষ একদিকে দিশেহারা। তার উপর কিছু অর্থ লোভী ও স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খুটিকাটা কাচিহারানিয়া, শংকরকাটি, কাঠালবাড়িয়া চারটি গ্রামে প্রায় আট হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে ভেসে ডুবে কোনো মতে দিন পার করছে।এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই এলাকার একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ সোতার খাল। খালটি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। তবে বর্তমানে এই খালটি ইজারা দেওয়ার ফলে ইজারাদারদের খামখেয়ালিপনার কারণে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি ঘর, ফসলি জমি, রাস্থা ঘাট, পুকুর সব পানিতে থৈথৈ করছে। ইজারাদাররা খালের কয়েকটি স্থানে পাটা বসিয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।সোতার খালটি এখন এলাকায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু জনসংখ্যা অধ্যুষিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকরকাটি ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়। মিষ্টি পানির আধার খালটির পানি দিয়ে ধান চাষ ও সবজি ক্ষেতে ফসল করতে চায় অসহায় কৃষকেরা।এ খাল থেকে জাল যার জলা তার নীতিতে মাছ ধরে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে চায়।তারা অধিকার আদায়ে হাটু সমান পানিতে দায়িয়ে পথে নেমেছেন।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নওয়াবেঁকী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার বৈদ্য, কলেজ ছাত্র দেবব্রত মিস্ত্রি, গৃহবধূ সুনিতা মন্ডল, কৃষক সবুজ মন্ডল, কৃষক মোমিন মোড়ল সহ প্রমূখ।বক্তারা জানান কাশিমাড়ী ইউনিয়ন এর খুটিকাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে সাবলীজ নিয়ে কাচিহারানিয়া গ্রামের সাধন মিস্ত্রি ও পার্শ্ববর্তী খুটিকাটা গ্রামের সুপদ মÐল, অনিমেষ মন্ডল, রতি কান্ত মন্ডল, সুকুমার মন্ডল, কমলাকান্ত মন্ডল, নিশিকান্ত মন্ডল ও অজিত মন্ডল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।সাধন মন্ডলের উস্কানিতে সন্তোষ মন্ডল(৬৫) কে হাওয়াল ভাঙ্গীতে অন্যায় ভাবে ব্যাপক মারপিট করে জনৈক জাবাক্স গাইন।আকাশ বন্যায় প্লাবিত কাচিহারানিয়া, খুটিকাটা, শংকর কাটি, ও কাঠালবাড়িয়া এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র অবলম্বন সোতারখালটি নেট পাটা দিয়ে আটকে রেখেছেন। এ কারণে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মাটির ঘর বাড়ি খাবার পানির পুকুর হাজার হাজার বিঘা জমির বীজ তলা পানিতে তলিয়ে আছে। এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটিও পানিতে ডুবে আছে। এভাবে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মাটির খুবড়ী ঘরগুলি ভেঙে পড়ছে। রান্না ও পানি নিষ্কাশনের নেই কোনো সু-ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে এদিকে আবার পানিবাহিত রোগ শুর” হয়ে গেছে। এভাবে সকল বক্তারা সীমাহীন দুর্ভোগের কথা জানান। মানববন্ধনে সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার বৈদ্য জানান,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত ১৫১৫ নং স্বারকের বরাতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ,ন,ম,আবুজর গিফারী জানান, এ বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply